কি বলবো গো সই তোমার পিরিতের মরা আমরা কাদে লই।

 

কি বলবো গো সই তোমার পিরিতের মরা আমরা কাদে লই।

.

.

সুন্দর একটি গ্রাম সেই গ্রামে বাস করতো অনেক লোক হাতাৎ করে ঘটে গেল একটি ঘটনা। গ্রামে একছেলে ভালোবাসে একটি মেয়েকে কিন্তুু ছেলের পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে রাজি নয়। কিছু দিন পর ছেলের পুলিশে চাকুরী হয়েগেলো। সে গোপনে মেয়ের সাথে দেখা করে বললো। আমার চাকুরী হয়েছে আমি কালকে ছয় মাসের জন্য  টেনিং করতে। চলে যাবো  টেনিং শেষ করে এসে তোমাকে বিয়ে করবো। তুমি সাবধানে থাকিও। ছেলে চলে যাবার পর মেয়ের পরিবার ভালো পরিবার পেয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলো। মেয়ে তার নতুন সংসার নতুন জামাই এগুলো  পেয়ে পুরনো সব সৃতি প্রায় ভুলেগেছে। এদিকে ছেলে ছয়মাস টেনিং শেষ করে বাড়ীতে আসছে এসে শুনে। মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলের মা ছেলেকে বুঝি বললো দেখ বাবা মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। তার কথা ভুলে যা। আমি তোমারে এর চেয়ে ভালো মেয়ের সাথে বিয়ে দিবো। ছেলে বললো আচ্ছা মা ঠিক আছে ছেলেটি তার এক বন্দুর কাছ থেকে মেয়েটির স্বামীর বাড়ীর ঠিকানা লইয়া। পরের দিন সকালে মেয়ের স্বামীর বাড়ীতে চলে যায়। এদিকে মেয়ের স্বামীর বাড়ী ছিল বডার সাইটে। আর তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী, তাঁর স্বামী সকাল বেলা অনেক দুর শহরে ব্যবসা করতে চলে যায়।

 
মেয়ে হাটাৎ ছেলেকে দেখে চমকে উঠে। এবং বলে তুমি এখানে কি করে আসলে। ছেলে তোমাকে দেখতে এলাম। এদিকে মেয়ে শাশুড়ী বলিতেছে। কি গো বউমা কে আসছে আমাদের বাড়িতে। বউ বুদ্ধি করে বললো। আম্মু আমার মামাতো ভাই আসছেন। উনি পুলিশে চাকুরী করেন তাই আমার বিয়েতে ছিলেন না। এখন আমাকে দেখতে আসছেন। বউ শাশুড়ী মিলে তাকে  অনেক আদর সমাদর করেলেন। এদিকে শাশুড়ী খেয়াল করে দেখে তার বউ যে দিকে যায় ছেলেটাও তার পেছনে পেছনে সে দিকে যায়। শাশুড়ী মনে মনে ভাবতে লাগলো। কি ব্যাপার কে এই ছেলে। বউ ও বুঝতে পারছে যে তার শাশুড়ীর মনে সন্দেহ হচ্ছে। তাই সে বুদ্ধি করে ছেলেটিকে বললো শুনো তুমি এখন চলে যাও। এই রুমে আমি থাকি তুমি রাত বারোটার পর এসে যে কোনো ভাবে ঘরের বেতর ঢুকবে। তখন দুজন মিলে গল্প করবো। আমার স্বামী আজ বাড়ীতে আসবে না। তখন ছেলেটি চলে গেল। ঠিক রাত ১২ টার পর এসে মেয়েটির ঘরে ঢুকার জন্য ঘরের নিচে দিয়ে মাটি খুড়োতে। লাগলো তখন মেয়ে তার স্বামীকে আস্তে আস্তে ডেকে বললো এই যে আমাদের ঘরে মনে হয় চুর ঢুকতেছে। তুমি এককাজ করো। এই রডটা নিয়ে গোহার মূখে দাড়িয়ে থাকো। যখন ঢুকবে তখন আগাত কর। এই বলে শেষ করতেই ছেলেটা মাথা ঢুকিয়ে উপরে ওটার চেষ্টা করতেছে। এমন সময় সে রড দিয়ে তার ঘাড়ের মধ্যে আগাত করলো এবং ছেলেটা মারা গেলো।

 
স্বামী স্ত্রী দুজন মিলে লাশটি বডারে নিয়ে রেখে একজন আরেক জন কে বললো একটু আড়ালে গিয়ে দেখি সকাল হলে বাড়ি ফিরে যাবো। তাঁরা আড়াল থেকে দেখে পাশের দেশের বিএসএফ টহলে এসে লাশটি দেখে বলতে লাগলো। যদি লাশটি এই যায়গায় তাকে তাহলে দুই দেশে যুদ্ধ লেগে যাবে।  দুজন সৈনিক লাশটি ধরে অনেকটা ভেতরে রেখে চলে গেল। স্বামী স্ত্রী দুজন মিলে আবার লাশটি কাঁটাতারের বেড়া ভেতরে রেখে। লুকিয়ে রইলো। আবার বিএসএফ এসে দেখে লাশটা কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে। তারা বললো মনে হয় এই শালাকে কোনো জিন হত্যা করেছে। তাই এরে মানুষের হাওলা করতে হবে। আবার দুজন মিলে একটি ঘরের বারান্দার মধ্যে রেখে তারা চলে গেল। আবার স্বামী স্ত্রী দুজন মিলে লাশটিকে কাঁটাতারের অনেকটা ভেতরে রেখে দিলো। আবার বিএসএফ এসে দেখে লাশটা তাদের দেশের মধ্যে। তাদের কমান্ডার বললো আচ্ছা দাঁড়াও দেখি কি করা যায়। হটাৎ সে দেখতে পায় একটি বটগাছের নিচে কিছু লোক শুয়ে আছে। তারা তাবলীগ জামাতের লোক। তখন সে তার দুইটা সৈনিকে ডেকে বললো এদের মধ্যে লাশটা ঢুকিয়ে দেয়ে। তারা তাই করলো। এবং তাঁরা চলে গেল। এদিকে স্বামী স্ত্রী দুজন বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী স্বামীকে বললো তুমি শুয়ে থাকো। আমি কলসি নিয়ে যাচ্ছি দেখি এঁরা কি করে। সে রাস্তার পাশে টিউবওয়েল থেকে পানি তুলার ভান করে দাড়িয়ে রইলো।

 এদিকে ফজরের আজানের সময়। তাই আমির সাহেব সকলকে ডেকে উঠাইতেছন। এরে ধাক্কা দিতেগিয়ে দেখেন সে তো মারা গেছে। মূখ খুলে দেখেন সে তো তাদের লোক নয়। তখন তিনি সবাই কে ডেকে বললেন শুনো যদি মূখ খুলো তাহলে সারা জীবন জেলের মধ্যে কাটাতে হবে। এককাজ করি আমরা সবাই লাশটা এই যায়গায় থেকে নিয়ে যাই তার পর অন্য জায়গায় দাপন করে দিবো। তারা নামাজ শেষ করে এলাকার লোকজনকে বললো ভাই আমাদের একজন ভাই মারা গেছে তার লাশটা আমার নিয়ে যাবো। আমাদের কে কিছু বাস দেন। লোকজন তাদের কিছু বাস দিলো তার তা দিয়ে একটা খাটিয়া বানিয়ে লাশটা চারজনে কাঁদে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় মহিলাটি মূখের মধ্যে কাপড় দিয়ে বলিতেছে। কি গো হুজুর আপনাদের লোক বুঝি মারা গেছে। তখন আমির সাহেব বুঝতে পারছে। খুনটা  এই মহিলা করেছে। আমির সাহেব দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বলতেছে  “কি বললো গো সই তোমার পিরিতের মরা আমরা কাঁদে লই"



Next Post
No Comment
Add Comment
comment url