কাদি তোমার সুখে


কাদি তোমার সুখে  




 এক ডাকাত তার বউকে বলছে আজকে আমার বাড়িতে আমাদের মসজিদের হুজুরকে দাওয়াত দেব। বউ বললো আমাদের ঘরে তো খাবার কিছু নেই। আর তোমাকে তো কোনদিন নামাজ রোজা করতে দেখি নাই হুজুরকে কি দাওয়াত খাওয়ালে  তোমার সব গুনা মাফ হয়ে যাবে। 


সে বললো চুপ কোনো কথা বলবি না আমি যা বলবো তাই করবে। আমি এখন বাজারে যাচ্ছি যাওয়ার সময় মসজিদের হুজুরকে দাওয়াত দিয়ে যাব আর আসার সময় হুজুরকে নিয়ে আসবো। তুই খাবার রেডি করবে আমি হুজুরের কাছে থেকে কিছু আমল আহলাকের কথা জানবো পরে আমরা একসাথে খাব। 


বউ মনে মনে বলল আচ্ছা ঠিক আছে খাওয়াবো ভালো করে। সে চলে গেল মসজিদে গিয়ে হুজুরকে বলল হুজুর আমার বাড়িতে আপনার দাওয়াত। আমি বাজার থেকে আসতেছি এই বলে সে চলে গেল বাজারে। এদিকে হুজুর মনে করছেন এখন দাওয়াত তিনি চলে গেলেন তার বাড়িতে। 


বাড়িতে গিয়ে প্রথমে সালাম দিলেন দিয়ে বললেন আমি মসজিদের হুজুর আপনার বাড়িতে দাওয়াতে খেতে আসছি। তখন মহিলাটি ভিতর থেকে বললো ওয়ালাইকুম আসসালাম হুজুর আসেন ভিতরে ওই রুমে বসেন। মহিলাটি পাশের রুমে একটি ওড়না মাথার মধ্যে দিয়ে কিছু মরিচ নিয়ে। পাঠা পুতাইল নিয়ে মরিচ বাটতে বসে গেল। 


কিছু মরিচ বাটার পর জোরে কান্না করতে লাগলো হুজুর পাশের রুম থেকে বলতেছেন কিগো চাচি কান্না করেন কি জন্য। মহিলা কিছু না বলে শুধু কান্না করতেছে। তখন হুজুর মহিলাটির কান্না থামাতে পাশের রুমে গিয়ে বললেন চাচি কান্না করেন কি জন্য। তখন মহিলাটি বললো আরে বাবা কান্না করি তো তোমার সুখে। 


হুজুর তখন বললেন আমার সুখে মানে কি মহিলা বললো আমাদের ঘরের মুরব্বিকে তো আপনি ভালো করে  চিনেন। উনি কোন ধরনের লোক। হুজুর বললেন শুনছি তো উনি ডাকাত প্রকৃতির লোক। মহিলাটি বললো তাইলে শুনেন এই যে দেখতেছেন আমার সামনে পাঠাতে যে মরিচ পুতাইলের মতো। হুজুর বললেন হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি মহিলা বললো ওইটা তোমার পাছা দিয়া ঢুকাইয়া দিবো বলছে। আর আমাকে বলছে মরিচ গুলোকে পুতাইলের মতো করে রাখতে। 


হুজুর  তখন ঘর থেকে বের হয়ে এক দৌড় দিছে। এদিকে লোকটি বাজার  নিয়ে আসছে চৌরাস্তার মধ্যে তাদের দেখা। হুজুর তাকে দেখে অন্য রাস্তায় দৌড়ে পালাচ্ছে । সে পিছন থেকে বলতেছে হুজুর হুজুর হুজুর কোন কথা না শুনে দৌড় আর দৌড়। 


সে বাড়িতে এসে তার বউকে বলতেছে এই আমার হুজুর কি জন্য দৌড়াচ্ছে । বউ বলছে তোমার হুজুর খুব স্বাদের হুজুর। সে বলছে সাধের হোক আর অস্বাদের হোক কি জন্য দৌড়াচ্ছে তাড়াতাড়ি বল নাইলে তোকে এখন মারবো। বউ বলছে তোমার হুজুর বলে আমি নাকি আমার মরিচ বাটার  পুতাইলটি  উনাকে দিয়ে দিতে। 


লোকটি তখন বললো আমার হুজুর শুধুমাত্র একটি পুতাইল চেয়েছে আর তো কিছু চায় নাই। তরে আমি বাজার থেকে নতুন একটা এনে দিবো। এই বলে সে পুতাইল হাতে নিয়ে দৌড় দিল। দৌড়ে গিয়ে দেখে হুজুর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে সে হুজুরকে বলতেছে হুজুর দাঁড়ান হুজুর দাঁড়ান। হুজুর তখন খেয়াল করে দেখে তার হাতে মরিচের মতো কি দেখা যাচ্ছে। 


হুজুর মনে মনে ভাবতেছি এইতো এখনই ঢুকাইয়া দিব। এই বলে হুজুর দৌড়াচ্ছে সেও পিছনে দৌড়াচ্ছে। সে বলতেছে হুজুর পুতাইল নিয়ে যান। হুজুর বলতেছে না আমার লাগবে না আমারে পাইলে তো আমার পিছন দিয়া ঢুকাইয়া দিবা। 


অনেকক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করার পর সে বাড়িতে চলে এল পুতাইলটি নিয়ে। তার বউ মুচকি এসে বলে কি গো তোমার হুজুরকে কি দাওয়াত খাওয়াইছেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url