উজরে অনেক কিছু জায়েয
উজরে অনেক কিছু জায়েয
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর দেশে চলছে চুরি চামারি হানাহানি মারামারি ইত্যাদি। তখন এক লোকের কাছে ছিল এক লক্ষ টাকা সে টাকাগুলো কোথায় রাখবে, সে চিন্তায় তার রাত দিন ঘুম নিদ্রা নাই। সে মনে মনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেয়ে গেল সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা আছে শহরে।
সে তখন চলে গেল মসজিদে, গিয়ে মসজিদের হুজুরকে জিজ্ঞেস করল হুজুর আমার কাছে কিছু টাকা ছিল আমি কি এগুলা সোনালী ব্যাংকে রাখতে পারব হুজুর তখন বললেন আরে কি বলেন এটা তো সুদের কারখানা। আর সুদ খাওয়ার সর্বনিম্ন গুনাহ হল মায়ের সাথে জেনা করা লোকটি তখন বললো আস্তাগফিরুল্লাহ।
এই বলে লোকটি চলে গেল গিয়ে মাটির নিচে টাকাগুলো রেখে দিল রেখে আস্তে আস্তে সে টাকা গুলা খরচ করে ফেলল। বিশ বছর পর হুজুর ও চলে গেলেন তাদের মসজিদ থেকে। আস্তে আস্তে তাদের এলাকায় বিদ্যুতের লাইন এলো এবং লোকটি ও তার বাড়িতে বিদ্যুৎ নিল।
একদিন লোকটি বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে ব্যাংকের মধ্যে দেখতে পেল হুজুর ম্যানেজারের সাথে বসে কি আলাপ করছেন। সে তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ বিল দিয়ে হুজুরের কাছে গিয়ে বলল হুজুর আসসালামুয়ালাইকুম আপনি দেখি সুদের কারখানায় বসে আছেন। ম্যানেজার তখন তাকে ধমক দিয়ে বললেন আরে কি বলেন আপনি হুজুর তো আমাদের এক নাম্বার ক্লাইন হুজুরের এক ছেলে দুবাই থাকে। আরো এক ছেলে লন্ডন থাকে।
তারা সব সময় আমাদের সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে। লোকটি তখন বলল ম্যানেজার সাহেব হুজুরের সাথে আমি কি বলি আপনি একটু শুনেন হুজুর আমার কিনা ক্ষতি করেছেন। ম্যানেজার বললেন কি বলেন লোকে বলল এইরকম আমার কাছে এক লক্ষ টাকা ছিল হুজুর আমাকে বলছেন ব্যাংকে রাখলে নাকি সুদ হবে আর সুদ খাওয়ার সর্বনিম্ন গুনা হলো মায়ের সাথে জেনা করার সমান অপরাধ।
হুজুরের এই ফতোয়া শুনে আমি আমার টাকাগুলো মাটির নিচে রেখে আস্তে আস্তে খরচ করে ফেলেছি যদি থাকত তাহলে এখন আমি অনেক টাকার মালিক হয়ে যেতাম। তখন হুজুর আস্তে করে বললেন উজরে অনেক কিছু জায়েজ। লোকটি বলল হুজুর আমার কি সেই সময় কোন ওজর ছিল না । হুজুর বললেন আরে সেই সময় কি আমার ছেলে দুবাই আর লন্ডন ছিল।