রাণী ও গোপাল ভাড়
রাণী ও গোপাল ভাড়
একদিন সকালে রাণী রাজদরবারে দুতলার মধ্যে বসে রোদ পোহাচ্ছেন। এমন সময় গোপাল ভাড় কিসের একটি ভার কাঁদে নিয়ে যাচ্ছে। রাণী গোপাল ভাড় কে দেখে জিজ্ঞেস করলেন গোপাল তোমার কাঁদে এটা কিসের ভার।
গোপাল ভাড় কোনো কথা বলে না। রাণী আবার জিজ্ঞেস করলেন গোপাল তোমার কাঁদে এটা কিসের ভার। গোপাল রাগ করে বললো চুতমারানি। এই বলে গোপাল তার কাদের ভার নিয়ে চলে গেলো।
এদিকে রাণী তো রেগেমেগে আগুন রাণী রাজার কাছে গিয়ে বললেন মহারাজ আপনার গোপাল ভাড় আমাকে গালি দিয়েছে রাজা বললেন এতো সাহস গোপালের তোমাকে গালি দেয়। আজকে তার কঠিন বিচার হবে।
রাজা গোপাল ভাড়ের বাড়ীতে লোক পাঠালেন এবং বলে দিলেন গোপাল যেন এই মুহূর্তে রাজদরবারে আসে। লোক গিয়ে গোপাল ভাড় কে বললো মহারাজ বলেছেন তুমি এই মুহূর্তে রাজদরবারে যাওয়া জন্য।
গোপাল তাদের সাথে রাজ দরবারে হাজির হলো রাজা বললেন গোপাল তুমি সকালে রাণীকে কেন গালি দিলে
গোপাল বলে কি বলেন মহারাজ আমি রাণী মাকে কেন গালি দেবো।
রাজার পাশে বসে থাকা রাণী বললেন কেনো ভুলে গেলে নাকি। সকালে তুই যে কিসের একটি ভার কাঁদে নিয়ে যাচ্ছিলে। এমন সময় আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম গোপাল তোর কাঁদে এটা কিসের ভার। তুই আমার দিকে চোখ বড় করে বললে চুতমারানি।
গোপাল হেসে বলে ও আচ্ছা আমি আপনাকে গালি দেই নাই গো রাণী মা। আমার কাঁদে ছিল তুকমার ভার আর আপনি যখন আমাকে প্রথম জিজ্ঞেস করেছেন তখন আমি শুনতে পারি নাই।
পরে আবার যখন আপনি বলেছেন গোপাল তোর কাঁদে এটা কিসের ভার। তখন আমি আপনাকে বলেছি তুকমারাণী।
আমার তো সামনের দাঁত নাই এ জন্য আপনি মনে করছেন আমি আপনাকে চুতমারানি বলে গালি দিয়েছি। রাজা রাণীকে বলেন ও আচ্ছা সে বলেছে তুকমারাণী আর তুমি শুনেছো চুতমারানি।