বড়লোকের মেয়ে ও গরীবের ছেলে
বড়লোকের মেয়ে ও গরীবের ছেলে
এক বড়লোকের মেয়ে তার ঘরের চাকরের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। বড়লোক বাবা তার মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তার চাকরের বাড়ীতে গিয়ে। চাকরের মা বাবাকে বললেন আজকে রাতের মধ্যে যদি আমার মেয়েকে বের করে না দাও। তাহলে তদের ছেলেকে যে খানে পাবো সে খানে গুলি করে মারবো।
এই বলে মেয়ের বাবা চলে এলো। এদিকে ছেলে মা বাবা অনেক চিন্তার মাঝে পড়ে গেল, এবং অনেক কান্নাকাটি শুরু করালো। কিছু দিন পর বড়লোক বাবা তার মেয়ে কে উদ্ধার করে নিয়ে এলো। এবং মেয়েকে দিয়ে আদালতে ছেলের উপর অপহরণ মামলা করালো।
এদিকে ছেলে বাবার একটি জমি ছিলো তা সে বিক্রি করে একজন উকিল ধরে ছেলেকে জামিনে মুক্ত করলো। কিছু দিন পর আদালতে সাক্ষী নেওয়া শুরু হলো। ছেলের বাবা রাতে উকিল সাহেবের বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করে বললো স্যার আমার ছেলেকে বাঁচান।
উকিল সাহেব বললেন আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। শুরু দোয়া করবেন আপনার ছেলের জন্য। আর আগামীকাল সকালে আপনার ছেলেকে বললেন আমার সাথে দেখা করতে।
পরের দিন সকালে বাবা তার ছেলেকে নিয়ে উকিল সাহেবের বাসায় আসলেন। আশার পর উকিল সাহেব ছেলে কে বললেন আমি যা বলি তা করবে। আমার কথার বাহিরে যদি একটি কথা বলো তাইলে তোমার ফাঁশি হবে।
ছেলে বললো স্যার আমি আপনার কথা ছাড়া কোনো কথা বললো না। উকিল সাহেব বললেন আগামীকাল যখন তোমাকে আদালতে তুলা হবে তুমি শুধু চেয়ে থাকবে কোনো কথা বলবে না । তাদের উকিল যাই বলোক তুমি কোনো কথা বলবে না। যা বলার আমি বললো। তুমি শুধু চেয়ে থাকবে।
পরে দিন ছেলে মেয়ে দুজনকে আদালতে তুলা হলো। মেয়ে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছে আর ছেলে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। আদালতে কার্যক্রম শুরু হলো। মেয়ের পক্ষের উকিল অনেক ধরনের কথা বলতে শুরু করলো।
একপর্যায়ে মেয়ের পক্ষের উকিল ছেলেকে বললেন এই ছেলে তুমি যখন মেয়েটাকে জোরকরে তুলে নিয়ে যাও তখন তুমি কি একা ছিলে না তোমার সাথে আরও লোক ছিল। ছেলেতো কোনো কথা বলে না একপর্যায়ে বিচারক ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললেন এই ছেলে তুমি সত্য কথা বলো। তুমি কথা বলছো না কেনো
তখন ছেলের পক্ষের উকিল সাহেব উঠে বললেন মহামান্য আদালত আমি তার পক্ষে দুটো কথা বলতে চাই, আমাকে যদি অনুমতি দেন। বিচারক বললেন অনুমতি দেওয়া হলো তখন ছেলের পক্ষে উকিল বললেন, এই ছেলেটা যখন এই মেয়েটাকে জোরকরে তুলে নিয়ে যায়।
তখন মেয়েটা এমন জোরে একটি চিৎকার দিয়ে ছিল। যে চিৎকারের কারণে ছেলেটা দুটো কানের পর্দা ফেটে গেছে তাই সে কোন কিছু শুনতে পায় না। শুধু চেয়ে থাকে এই কথা বলার সাথে সাথে মেয়েটি বলে উঠলো।
বিশ্বাস করেন আমি কোনো চিৎকার করি নাই। তখন ছেলের পক্ষে উকিল বললেন মহামান্য আদালত আপনারা সামনে মেয়ে নিজের মুখে বলছে সে কোন চিৎকার করে নাই।
তাহলে এটা প্রমান হলো আমার মক্কেল তাকে জোর করে তুলে নেয়নি মেয়ে স ইচ্ছা তার সাথে গিয়েছে। আমার আকুল আবেদন মহামান্য আদালতের কাছে আমার মক্কেল কে খালাস দেওয়া সাথে তারা দুজনের বিয়েটা যেন আদালতে মাধ্যমে হয়।