বাবার চেয়ে তার মেয়ে বেশি বুদ্ধিমান
বাবার চেয়ে তার মেয়ে বেশি বুদ্ধিমান
একদিন রাজা উজির কে বললেন আপনি খেয়াল রাখবেন কোন দিন গোপাল দুরে কোথাও বেড়াতে যায়। যে দিন গোপাল বেড়াতে যাবে সে দিন সাথে সাথে আমাকে জানাবে। উজির বললেন ঠিক আছে মহারাজ।
একটি দিন সকাল বেলা উজির দেখেন গোপাল কোথায় যেন যাচ্ছে। তিনি সাথে সাথে রাজদরবারে গিয়ে রাজাকে বললেন মহারাজ আজ গোপাল কোথায় যেন বেড়াতে গিয়েছে।
রাজা বললেন এইতো সুযোগ তাড়াতাড়ি আমার সাথে চলো। রাজা ও উজির একসাথে গোপালের বাড়িতে গিয়ে ডাক দিলেন গোপাল গোপাল বলে, ঘর থেকে গোপাল ভাড়ের মেয়ে বললো, বাবাতো বাড়িতে নেই আপনি কে।
উজির বললেন আমাদের মহারাজ এসেছেন গোপালের খুঁজে। গোপালের মেয়ে বললো বাবা আজকে আসবেন না আপনি মহারাজকে নিয়ে আমাদের পুর্বদিকের ঘরটা বসেন। উজির রাজাকে নিয়ে ঘরে বসলেন কিছু সময় পর গাছ থেকে একটি আম মাটিতে পড়লো।
পড়ার পরে উজির বললেন ও গো ভাতিজী তোমাদের ঘরের পিছনে কি যেন টাস করে পড়ছে। গোপালের মেয়ে উত্তর দিলো চাচা ওটা টাস করে পড়ে নাই, পড়ার পর টাস করেছে।
রাজা ও উজির দুজনে চোখ কপালে উঠে গেলো তারা একে অন্যকে আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন। গোপালের চেয়ে তার মেয়ে মনে হয় আর বুদ্ধিমাণ। রাজা উজির কে বললেন বুদ্ধি করে একটা কথা বলে এখান থেকে চলে যাই।
উজির বললেন ও গো ভাতিজী আমরা এখন চলে যাচ্ছি। গোপালের মেয়ে বললো কি জন্য আসলে কিছুতো বললেন না। তখন উজির বললেন আসছিলাম তোমার বাবার কাছে। তোমাদের পুকুর ঘাটে যে তাল গান আছে যার গুড়া পাছ হাত ওটা নেওয়া জন্য।
ওটা গুড়ার অংশ দিয়ে মহারাজ উনার হাতের একটি লাটি বানাবেন। সব সময় হাতে নিয়ে হাটাচলা করার জন্য।
গোপালের মেয়ে মূসকি হেসে বললো। না চাচা বাবা বলছেন তিনি এটা বিক্রি করবেন না। বর্তমাণে ওটার গুঁড়া পাছ হাত।
যখন ওটার গুঁড়া সাত হাত হবে। বাবা বলছেন তখন ওটার গুঁড়া দিয়ে তিনি দাঁত খিলাল করবেন।