বৃদ্ধ লোকটা ছিল খাঁটি ইমানদার
বৃদ্ধ লোকটা ছিল খাঁটি ইমানদার
অনেক পুরনো একটি ঘটনা একচোর চুরি করতে গিয়ে মাসজিদে ভিতরে ঢুকে লুকিয়ে রইলো। মুসল্লীরা নামাজ পড়ে চলে গেলো, চোর কিন্তুু মসজিদের একটি কোণে লুকিয়ে আছে।
চোর মনে মনে ভাবতেছে রাত না হওয়া পর্যন্ত বের হওয়া যাবে না বের হলে লোকজন আমাকে মেরে ফেলবে। কিছু সময় পর চোরের পায়খানার বেগ হলো এবং সে মসজিদের ভিতরে পায়খানা করলো।
পায়খানা শেষ করে চোর যখন পায়খানা পরিস্কার করতে লাগলো তখন সে দেখতে পায় তার পায়খানা টাকা হয়ে গেছে। সে টাকা গুলো হাতে নিয়ে বের হয়ে একলোকে বললো মাসজিদে পায়খানা করলে টাকা হয়ে যায়।
তার কথা শুনে লোকটা মসজিদের ভিতরে গিয়ে পায়খানা করে দেখে তার পায়খানা ও টাকা হয়ে গেছে। এ খবরটা পুরো এলাকায়র ছড়িয়ে পড়লো আর লোকজন আসা শুরু করলো। সবাই পায়খানা করছে আর তা টাকা হচ্ছে। আর তারা নিয়ে যাচ্ছে।
এই এলাকায়র শেষ মাথায় ছিল এক বৃদ্ধ লোকের বাড়ী বৃদ্ধ লোকের কোনো সন্তান ছিলো না। বৃদ্ধ লোক ও তার স্ত্রী বাস করতো। বৃদ্ধ লোকটা সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে। বিক্ষা করতে বের হতো আর সন্দা বেলা বাড়ি আসতো।
পতি দিনের মতো ঐ দিনও বৃদ্ধ লোকটি বাড়িতে আসছে আসার পর তার স্ত্রী বলতেছে। এভাবে লোকজন মাসজিদে গিয়ে পায়খানা করে টাকা আনিতেছে। এই কথা শোনার সাথে সাথে লোকটি বলে উঠলো আস্তাগফিরুল্লাহ।
এবং তার স্ত্রী কে বললো চলো আমরা এই এলাকা থেকে চলে যাই। এই বলে তারা চলে গেলো। তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে ঐ এলাকা আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল না।
অন্য এলাকায়র লোকজন একজন হুজুরের কাছে গিয়ে এই ঘটনা কি জন্য হলো তা জানতে চাইলেন। হুজুর বললেন, চোরের পায়খানাকে টাকা বানিয়ে এলাকায়র সবাইকে পরিক্ষা করা হয়ে ছিল। পরিক্ষায় সবাই ফেল করেছে।
তারা সাথে মহাপাপী হয়ে গেছে। আল্লাহ সাথে সাথে এলাকা ধ্বংস দিতে পারতেন শুধু ঐ বৃদ্ধ লোকের কারণে করেন নি। যেই মাত্র বৃদ্ধ লোকটা তার স্ত্রী কে নিয়ে এলাকা পার হয়েছে। সাথে সাথে আল্লাহ আজাবের ফেরেস্তা দিয়ে গুজব নাজিল করেছেন। ঐ বৃদ্ধ ভিক্ষুক লোকটা ছিল খাঁটি ইমানদার।